print this page

অন্যান্য










0 মন্তব্য(গুলি)

সিলেবাস

এখনো পরিপুর্ণভাবে ছাপানো হয়নি

0 মন্তব্য(গুলি)

ডাউনলোড

বাংলা ডিশোনারী ডাউনলোড করুন।

  Dictionary টির কিছু feature-
- Size : মাত্র ৫.৭৯ মেগামাইট,
- ১৮,০০০ উপর word
- English to বাংলা and বাংলা to English
- Simple and Easy word search
- Unicode
 Extra: পবিত্র কোরআন এর সব সুরার বাংলা ও ইংরেজি অনুবাদ
download: http://opentechbd.com/wali/BanglaDictionary.zip
0 মন্তব্য(গুলি)

যোগাযোগ করুন

Mail:-ngbhs.natore@yahoo.com
Phone:-077166614
Website:-http://ngbhs-nat.blogspot.com
Facebook Page:-http://facebook.com/ngbhs.natore

0 মন্তব্য(গুলি)

নাটোর সরকারী বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ইতিহাস


 সংক্ষিপ্ত ইতিহাস,ইতিবৃত্ত এবং কিছু কথা


জানা যায়,নাটোর কাছারি মাঠ সংলগ্ন সাবেক মুনসেফ কোর্ট বা আদালত ভবনের পার্শ্বে নাটোর মহারাজা জে.এন (জগদিন্দ্র নাথ) হাইস্কুল অবস্থিত ছিল। স্থান সংকুলান সমস্যা,উর্দ্ধতন কতৃপক্ষের চাপ এবং স্থানীয় কিছু বিরোধীতার কারনে মহারাজা জগদিন্দ্র নাথ রায় ১৯১০ খ্রিস্টাব্দে বিদ্যালয়টি তার নিজের বাড়ির সন্নিকটবর্তী বর্তমান স্থানে সরিয়ে নেন।

তৎকালে নাটোরের মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ধর্মীয় শিক্ষা বিস্তারের উদ্দেশ্যে “আঞ্জুমান ইসলামিয়া” বা “আঞ্জুমানে তাইদে ইসলামিয়া” নামক ধর্ম সভা ছিল (আঞ্জুমান অর্থ সভা বা সমিতি)। উক্ত ধর্ম সভার সভাপতি ছিলেন নাটোর চৌধুরি পরিবারের বিশিষ্ট সমাজসেবক এবং শিক্ষাব্রতী খান বাহাদুর এরশাদ আলী খান চৌধুরী। তিনি নাটোর পৌরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন। তার প্রচেষ্টায় আঠারশ নব্বই এর দশকে ঐতিহাসিক নারদ নদী বিধৌত মীরপাড়ার মাদ্রাসা-ই-আঞ্জুমানিয়া নামক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান চালু হয়। ১৮৯৯ খ্রিষ্টাব্দে নিখিল ভারত মুসলিম শিক্ষা সম্মেলনে সৈওদ আমির আলী কতৃক মুসলিম শিক্ষার উন্নয়নের জন্য মাদ্রাসাগুলিতে ইংরেজী শিক্ষা প্রবর্তনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল। এরই ধারাবাহিকতা এবং মহারাজা জে.এন হাইস্কুল কাছারি মাঠ সংলগ্ন স্থান হতে এক মেইল (দেড় কিলোমিটার) উত্তরে রাজবাড়ির নিকট স্থানান্তরিত হওয়ায় নাটোরের দক্ষিনাঞ্চলের মানুষের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টীর প্রেক্ষিতে খান বাহাদুর এরশাদ আলী খান চৌধুরি এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যাক্তিদের উদ্যোগে মীরপাড়ার মাদ্রাসা-ই-আঞ্জুমানিয়া বিলুপ্ত করে ১৯১০ খ্রিষ্টাব্দে দ্রুত এখানে আঞ্জুমানিয়া এম.ই স্কুল (মিডল ইংলিশ স্কুল) নামে একই বিদ্যালয় চালু করা হয়। ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন পুলিন চন্দ্র গোস্বামী। ১৯৪৬ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত তিনি এম.ই স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন। পাকা দেওয়ালের টিনের চালা ঘরের ৮টি ক্ষুদ্র আয়তনের কক্ষে এম.ই স্কুল পরিচালিত হত। ১৯৪৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রিটিশ শাসনের অবসান হয়ে পাকিস্তান রাষ্ট্র কায়েম হওয়ায় তদানিন্তন পাকিস্তানের স্রষ্টা কায়েদে আযম মুহম্মদ আলী জিন্নাহর নামানুসারে এম.ই স্কুলের নামকরন হয় প্রথমে জিন্নাহ মেমোরিয়াল ইংলিশ হাইস্কুল এবং পরে জিন্নাহ মডেল হাই স্কুল। উক্ত হাই স্কুলের পর্যায়ক্রমিক প্রধান শিক্ষক ছিলেন শ্রী সুরেন্দ্র নাথ চক্রবর্তী,শ্রী সুশীল চন্দ্র চক্রবর্তী,জনাব  মুহম্মদ আনযাম (১৯৬১-৬৮ ২য় বার)।পঞ্চাশের দশকে নদী তীরের ৯৬ শতাংশ জমিতে বিদ্যালয়ের  সম্প্রসারন কাজ করা হয়। বিদ্যালয়ের নিয়ম শৃঙ্খলা,লেখাপড়ার মান এবং আনুসঙ্গিক কার্যাবলীর জন্য এটি তৎকালীন নাটোর মহকুমার অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যালয় হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে। সরকারের সুদৃষ্টি পড়ায় এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় পঞ্চাশের দশকের শেষ দিকে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় এখানে দুইটি একতলা দালান এবং ছয়কক্ষ বিশিষ্ট একটি ছাত্রাবাস ও একটি দ্বিতল ভবন নির্মিত হয়।

একটি মানসম্মত উচ্চ বিদ্যালয় হিসাবে সাবেক মহকুমা সদরে অবস্থিত এই বিদ্যালয়টি সরকারি নীতির আওতায় ১লা মে ১৯৬৮ ইং তারিখ হতে প্রাদেশিকীকরণ বা সরকারিকরন করা হয়। তখন এই বিদ্যালয়টির নামকরন হয় নাটোর সরকারি জিন্নাহ হাই স্কুল। কিন্তু,১৯৭১ খিষ্ট্রাব্দ স্বাধীন বাংলাদেশ অভ্যুদ্বয়ের পর পরিবর্তিত প্রেক্ষাপটে নামকরন হয় নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়।

পঞ্চাশ থেকে আশির দশক পর্যন্ত মোটামুটি তিরিশ বছর জিন্নাহ মডেল হাই স্কুল বা নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের স্বর্নযুগ বা গৌরবোজ্জল সময় বলা যায়। ঐ সময়ে অত্যন্ত নিষ্ঠা ও সুনামের সহিত বিদ্যালয় পরিচালিত হত। তৎকালীন বিচক্ষন প্রধান শিক্ষক জনাম এম. আনযাম মীরপাড়া হতে বিদ্যালয় অন্যত্র স্থানান্তরের পরিকল্পনা মাথায় নিয়ে সত্তর দশকে (১৯৬২) বড়গাছা মৌজায় নাটোর রাজশাহী মহাসড়কের পার্শ্বে পর্যায়ক্রমে ৩.০৮ একর জমি ক্রয় করেন। অনেক চড়াই উতরাই এর পর অবশেষে ১৯৭৬-৭৭ অর্থ বছরে একটি উন্নয়ন প্রকল্পের অধীনে সেখানে প্রথমে ছয় কক্ষ বিশিষ্ট একটি একাডেমিক ভবন,প্রধান শিক্ষকের বাসভবন এবং শিক্ষকদের জন্য একটি ডরমিটরী ভবন নির্মান করা হয়। ১৯৮৩ খ্রিষ্টাব্দে তৃতীয় হতে পঞ্চম শ্রেনী পর্যন্ত প্রাথমিক শাখা বড়গাছার নতুন ভবনে স্থানান্তর করা হয়। ১৯৮০ হতে ১৯৯৮ এর মধ্যে পর্যায়ক্রমে আরো উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় বড়গাছার নতুন স্থানের মূলভবনকে সম্পসারিত করে ১৬ কক্ষ বিশিষ্ট দ্বিতল ভবনে রূপান্তরিত করা হয়। ২৯ মার্চ ২০০০ তারিখে লেখককে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব নিতে হয়।

পরবর্তী প্রধান শিক্ষক জনাম মোস্তাক হাবিব ১৩ জুলাই ২০০০ তারিখে অত্র বিদ্যালয় যোগদান করেন। ৩ ডিসেম্বর ২০০১ ইং তারিখে লেখক পুনরায় প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে আসেন। জেলা প্রশাসক জনাম সদর উদ্দিন আহম্মেদ এবং শিক্ষা বিভাগীয় সহকারী প্রকৌশলীর সহযোগিতায় বিদ্যালয় স্থানান্তর করার জন্য মহাপরিচালক,মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা মহোদয়ের আদেশে আনা হয়। ২৮ জানুয়ারি ২০০২ ইং নতুন ভবনে বিদ্যালয় স্থানান্তর সম্পন্ন করা হয়।

৮ জুন ২০০২ তারিখে বেগম কামরুন্নাহার বেলী এই বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে যোগদান করেন ও বিদ্যালয়ের দায়িত্ব গ্রহন করেন। তার অভিজ্ঞতা এবং কর্ম তৎপরতায় বিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা এবং লেখাপড়ার মানবৃদ্ধি পেতে থাকে।

প্রধান শিক্ষিকা বেগম হামিদা বানু ১ মার্চ ২০০৪ ইং তারিখে অত্র বিদ্যালয় যোগদান করেন। তিনি ব্যাক্তিগতভাবে বিদ্যালয়ের পাঠাগারের জন্য দশ হাজার টাকার বই দান করে এক অনন উদাহরন সৃষ্টি করেন। এই সময়ে ১৪ কক্ষ বিশিষ্ট একটী দ্বিতল ছাত্রাবাস নির্মিত হয়। ৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ ইং তারিখে প্রধান শিক্ষিকা বেগম হাসিনা বানু অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। তার সততা,অভিজ্ঞতা এবং প্রজ্ঞা দ্বারা বিদ্যালয় সুষ্ঠভাবে পরিচালিত হতে থাকে। এরপরে মঞ্জুয়ারা বেগম ২০১৪ সালের জুলায় মাসে এবং জনাব সাজ্জাদুল স্যার (বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক) যোগদান করেন বর্তমান সাজ্জাদুল স্যারের দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতায় স্কুল পরিচালিত হচ্ছে।

বিদ্যালয় এ প্রায় চৌদ্দ হাজার বই সম্বলিত একটি পাঠাগার আছে। একজন লাইব্রেরিয়ান না থাকায় বই ব্যবহার করা সম্ভব হয় না। ২০১০ সাল থেকে এ বিদ্যালয়ে ডবল শিফট চালু হয়েছে। নিয়ম-শৃঙ্খলা,শিষ্টাচার,সততা,নেতৃত্ব যোগ্যতা ইত্যাদি অর্জন করে বিভিন্ন ক্ষেত্রে যারা আলোকিত হয়েছেন তারা নাটোর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্র হিসেবে পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেন।


তথ্যসূত্রঃ

·        সমর পাল রচিত,নাটোরের ইতিহাস

·        সমর পাল রচিত,নাটোর মহারাজা হাই স্কুলের জন্মকথা

·        বার্ষিকী ’৮৪,’৯০.২০০০,২০০৪,২০১০

·        নিজস্ব অনুসন্ধান।

               
0 মন্তব্য(গুলি)

আমাদের বিভিন্ন কার্যকালাপ











0 মন্তব্য(গুলি)

আমাদের স্কুল


0 মন্তব্য(গুলি)